সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের একটি মসজিদের ইমাম সাকিব আলী। তাঁর বাড়ি রংপুরের কোতোয়ালি থানায়।
পুলিশ জানায়, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর ওপর জিন ভর করেছে জানিয়ে ইমাম সাকিব আলীকে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে। ইমাম পরিবারের সদস্যদের ঘরের বাইরে রেখে দুই দফায় ওই ছাত্রীকে ঘরে বসিয়ে ঝাড়ফুঁক দেয়।
গত রোববার (১১ আগস্ট) ঘরের মধ্যে বসে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার সময় মেয়েটির চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন ঘরের ভেতরে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। এ সময় প্রতিবেশীরা সাকিবকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার দিন রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর সোমবার সাকিবকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
মঙ্গলবার নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
পুলিশ জানায়, ইমাম সাকিব মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।